শিশুর যত্ন ও বেড়ে উঠা

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ: যা যা জানা দরকার

শিশুর ডায়াপারের নিচের ত্বক লাল হয়ে গেলে বা ফুসকুড়ি দেখা দিলে তাকে ডায়াপার র‍্যাশ বলা হয়। বাড়িতে সহজেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

ডায়াপার র‍্যাশ কখন বেশি হয়?

  • ৬-৯ মাস বয়সি শিশুর
  • পাতলা পায়খানা বা অন্য কোনো অসুখে
  • শিশু শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করলে
  • শিশু সারারাত ঘুমানো শুরু করলে
  • এই সময়গুলোতে শিশুর ত্বকের প্রতি বেশি সতর্ক হতে হবে।

ডায়াপার র‍্যাশ হলে কী করবেন?

নিয়মিত ডায়াপার বদলানো: 

ডায়াপার ভিজে গেলে বদলাতে দেরি করবেন না। ভেজা ত্বক র‍্যাশ বাড়ার কারণ হতে পারে। 

খেয়াল রাখবেন রাতে দীর্ঘসময় যেন একই ডায়াপার না পরিয়ে রাখা হয়। সাধারণত চার ঘণ্টা পরপর ডায়াপার বদলে ফেলা উচিত। 

কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া থাকা: 

দিনে কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া শিশুকে রাখবেন, এটি র‍্যাশ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করবে। শিশু টয়লেট করার ঠিক পরপর কিছু সময় এভাবে রাখতে পারেন।

সঠিক মাপের ডায়াপার পরানো:

বেশি ছোটো বা আঁটোসাঁটো ডায়াপার র‍্যাশের কারণ হতে পারে। শিশুর ডায়াপারটি সঠিক মাপের কি না খেয়াল রাখবেন।

ডায়াপার পরায় এবং পরানোয় পরিচ্ছন্নতা:

১। ডায়াপার বদলানোর আগে ও পরে নিজের হাত ধুয়ে নিবেন।

২। পরিষ্কার পানি বা প্রয়োজনে শিশুর উপযোগী কোমল সাবান ব্যবহার করে ডায়াপারের নিচের ত্বক পরিষ্কার করবেন।

৩। অতিরিক্ত সুগন্ধি বা অ্যালকোহল যুক্ত বেবি ওয়াইপ ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন, ত্বকের জন্য এগুলো ক্ষতিকর। বিকল্প হিসেবে ভেজা রুমাল বা নরম কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।

৪। আরেকটি ডায়াপার পরানোর আগে জায়গাটি পুরোপুরি শুকনো কি না নিশ্চিত করবেন।

ডায়াপার র‍্যাশ হলে শিশুর ত্বকে কী ব্যবহার করবেন? 

ডায়াপার র‍্যাশ নিরাময়ের জন্য ভালো মানের ডায়াপার ক্রিম, পেট্রোলিয়াম জেলি বা অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিমের উপকরণে জিংক অক্সাইড থাকলে সেটি র‍্যাশ নিরাময় করতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখতে হবে, রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধযুক্ত মলম ব্যবহার করা যাবে না। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন যেন শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে না যায়।


কখন ডাক্তার দেখাবেন?

ডায়াপার র‍্যাশের সাথে যদি ফোঁড়া হয় বা পুঁজ নির্গত হয়, অথবা ব্যথা বা জ্বর হয় তবে এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া র‍্যাশ যদি অনেকদিন স্থায়ী হয়, সর্তকতা অবলম্বনের পরেও যদি নিরাময় না হয় তবে এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

বেশিরভাগ শিশুই কখনো না কখনো ডায়াপার র‍্যাশের ভুক্তভোগী হয়। সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এটি অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব।

তথ্যসূত্র:

https://www.healthline.com/health/home-remedies-diaper-rash

https://www.aad.org/public/everyday-care/itchy-skin/rash/treat-diaper-rash (american academy of dermatology)

https://www.webmd.com/parenting/diaper-rash-treatment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.