1. সন্দেহভাজন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে
- জ্বর (৯৯ ডিগ্রির নিচে)
- শুকনা কাশি
- গলা ব্যাথা
- ক্লান্তি/দুর্বলতা
- মাথা ব্যাথা
- পেশীতে ব্যাথা
- পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া, বমি
- মুখে স্বাদ না থাকা
- নাকে গন্ধ না পাওয়া

সন্দেহভাজন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে (করণীয়)

পাশের উপসর্গসমূহের অন্তত ২টি থাকলে অথবা মুখে স্বাদ বা নাকে গন্ধ না পেলে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করুন।
2. মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে (উপসর্গ)
- জ্বর (৯৯ ডিগ্রির নিচে)
- শুকনা কাশি
- গলা ব্যাথা
- ক্লান্তি/দুর্বলতা
- মাথা ব্যাথা
- পেশীতে ব্যাথা
- পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া, বমি
- মুখে স্বাদ না থাকা
- নাকে গন্ধ না পাওয়া

মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে (করণীয়)

- কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী/রোগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়সীমা বেশি বা কম হতে পারে।
- রোগীকে আলাদা কক্ষ ও আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে।
- রোগীর তৈজসপত্র যেমন-থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবেনা।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফল যেমনঃ লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি প্রভৃতি খেতে হবে।
- একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
- যদি নতুন উপসর্গ দেখা দেয় বা আগের উপসর্গের অবনতি হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
3. মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে (উপসর্গ)
- পূর্বের উপসর্গের সাথে
- জ্বর (১০১-১০২ ডিগ্রি)
- শরীরে শিরশিরে ভাব (নিয়মিত কাঁপুনিসহ)
- ভারি কাশি
- শ্বাসকষ্ট (অক্সিজেন সেচুরেশন ৯৪% এর নীচে)
- ক্লান্তি
- শরীরে ব্যথা
- পেশীতে ব্যাথা

মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে (করণীয়)

- কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী/রোগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়সীমা বেশি বা কম হতে পারে।
- রোগীকে আলাদা কক্ষ ও আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে।
- রোগীর তৈজসপত্র যেমন-থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবেনা।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফল যেমনঃ লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি প্রভৃতি খেতে হবে।
- একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
- পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
- উপুর হয়ে শোয়া, নিদেন পক্ষে উপুর হতে না পারলে পাশ ফিরে শোয়া।
- ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা।
- দিনে ২-৪ বার নিঃশ্বাসে গরম পানির ভাপ নেয়া।
- দিনে অন্তত ২/৩ কাপ গরম মসলা চা খাওয়া।
- দিনে একবার নাকে কালিজিরা ভিজানো পানির ড্রপ নেয়া।
- কালিজিরা, রসুন, মধু ইত্যাদি খাওয়া।
4. তীব্র উপসর্গের ক্ষেত্রে (উপসর্গ)
- পূর্বের উপসর্গের সাথে
- কিছুই খেতে না পারা
- বারবার বমি হতে থাকা
- নীলচে চেহারা/ঠোঁট/জিভ
- তীব্র শ্বাসকষ্ট
- পানিশূন্য হয়ে পড়া
- অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা/বিভ্রান্তি/অর্ধচেতন/অবচেতন
- চোখে সমস্যা (যেমনঃ চোখ থেকে পানি পড়া, ফোলা চোখ ইত্যাদি)

তীব্র উপসর্গের ক্ষেত্রে(করণীয়)

রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
5. পোস্ট কোভিড উপসর্গের ক্ষেত্রে (উপসর্গ)
- ক্লান্তি
- স্নায়বিক জটিলতা
- কথা মনে রাখতে কষ্ট হওয়া/ মনযোগে সমস্যা
- পেশীতে ব্যাথা বা মাথা ব্যাথা
- বিষন্নতা/ উদ্বিগ্নতা
- চুল পড়া
- নাকে গন্ধ না পাওয়া
- নিশ্বাস নিতে কষ্ট
- ঘুমের সমস্যা
- কাশি
- হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যাওয়া
- র্যাশ হওয়া
- মুখে স্বাদ না থাকা

পোস্ট কোভিড উপসর্গের ক্ষেত্রে (করণীয়)

দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
6. করোনার নতুন লক্ষণ সমূহ
- ফোলা জিহবা
- বুকে হালকা ব্যাথা
- চোখ জ্বালাপোড়া
- হাত ও পায়ের আঙ্গুলের রঙ ফ্যাকাশে হওয়া
- হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া
- মাথা ব্যাথা
- গলা ব্যাথা
- পায়ের তালুতে লালচে ভাব
- ডায়রিয়া
- মুখে ঘা
- চুল পড়া
- চামড়ায় র্যাশ
