গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বেড়ে গেলে তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (গ্যাস্টেশনাল ডায়াবেটিস)
বলা হয়। সাধারণত, সন্তান জন্মদানের পর এই ধরনের ডায়াবেটিস চলে যায়। এই ধরনের ডায়াবেটিস গর্ভকালীন যেকোনো সময়েই হতে পারে।
তবে ২য় অথবা ৩য় “ট্রাইমেস্টারে” এ ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ:
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগা,
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করা,
- মুখ শুকনো হয়ে থাকা,
- দুর্বলতা,
- অতিমাত্রায় ক্ষুধাবোধ হওয়া এবং আগের তুলনায় বেশি খাওয়া।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে যেসব জটিলতা হতে পারে:
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে মা ও শিশু উভয়েরই ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সন্তানের ক্ষেত্রে:
- অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ,
- নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্মগ্রহণ,
- গুরুতর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা,
- রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমে যাওয়া,
- স্থূলতা এবং পরবর্তী জীবনে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া,
- জন্মদানের পূর্বে বা জন্মদানের পরে মৃত্যু,
মায়ের ক্ষেত্রে:
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া,
- গর্ভকালীন খিঁচুনি হওয়া,
- ডেলিভারি অপারেশনের মাধ্যমে হওয়া,
- জন্মদান পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস হওয়া,