করােনা সংক্রান্ত তথ্য

মাস্ক পরার ক্ষেত্রে যা করা যাবে আর যা যা করা যাবে না

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের এক নতুন রূপ। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতার কারণেই এই ভ্যারিয়েন্টটিকে সবথেকে বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রকোপ চলছে—বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিয়ে ফেলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, নিয়মিত ভালো করে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করা এবং সঠিক উপায়ে মাস্ক পরা। 

কিন্তু আশেপাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাই অনেকেই সঠিক উপায়ে মাস্ক পরার নিয়মগুলো জানেন না কিংবা পালন করেন না। যার ফলে এক বা দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও আমাদের অনেকেই কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি। ভুল নিয়মে মাস্ক পরা আর মাস্ক না পরা—দুটোই সমান ক্ষতিকর। যা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ কারণেই মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কী কী করা যাবে আর কী কী এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

মাস্ক পরবার সময় যা যা খেয়াল রাখতে হবে:

১. মাস্ক স্পর্শ করার আগে হাত সবসময় সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।

২. সবসময় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত মাস্ক পরতে হবে। ছিদ্র বা ময়লা যুক্ত মাস্ক পরা যাবে না।

৩. মাস্কটি এমনভাবে পরতে হবে যাতে মুখ, নাক এবং গাল (চোয়াল পর্যন্ত) ভালোভাবে ঢেকে থাকে এবং কোনোরকম ফাঁক না থাকে।

৪. মুখে পরে থাকা মাস্কটি কোনো কারণে ময়লা হলে বা ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে।

৫। কোনো অবস্থাতেই জনবহুল স্থানে মাস্ক খোলা যাবে না।

৫. জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক খুলতে হলে অবশ্যই একটু ফাঁকা জায়গায় গিয়ে মাস্ক খুলতে হবে। 

৬। মাস্কটি খোলার আগে অবশ্যই দুই হাত ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।

৭. মাস্ক খোলার সময় হাতের দুই আঙুল ব্যবহার করে কানের নিচের ইলাস্টিক বন্ধনী বা গিটগুলো ধরে মাস্ক খুলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাস্কের সামনের অংশে হাত দেওয়া যাবে না।

৮. মাস্ক খোলার পর দুই হাত আবার ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। 

৯. কাপড়ের মাস্ক প্রতিবার ব্যবহারের পর ধুয়ে একটি পরিষ্কার আলাদা ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে। আর মেডিকেল বা সার্জিক্যাল মাস্ক একবারই ব্যবহার উপযোগী। তাই এগুলো একবার ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে।

মাস্ক পরিধানে যা যা এড়িয়ে চলতে হবে:

১. মাস্ক পরা অবস্থায় টেনে কোনোভাবেই নাকের নিচে নামানো যাবে না।

২. থুতনি উন্মুক্ত রাখা যাবে না। 

৩. মাস্ক টেনে থুতনির নিচে নামানো যাবে না। 

৪. মাস্ক পরে থাকার সময় বারবার স্পর্শ করা যাবে না। 

৫. ঢিলেঢালাভাবে মাস্ক পরা যাবে না।

৬. ময়লা, নষ্ট বা ভেজা মাস্ক পরা যাবে না।

৭. একজনের ব্যবহৃত মাস্ক কোনোভাবেই অন্য একজন ব্যবহার পরা যাবে না।

আপনার ও আপনার পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং আশেপাশে থাকা অন্য সবার সুরক্ষার জন্য সঠিকভাবে মাস্ক পরা, খোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আসুন আমরা সঠিকভাবে মাস্ক পরি।  নিজের এবং অন্যের জীবন বাঁচাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.