আপনি এই মুহূর্তে আপনার গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের শেষ পর্যায়ে আছেন৷ আপনার জরায়ুতে ঢুকে পড়া ছোট্ট বলটি ক্রমেই বড়ো হয়ে ভ্রুণের আকৃতি গঠন করেছে৷ এই সময়টি আপনার গর্ভজাত শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময়৷ আপনার একটু ভুলের জন্য আপনার সন্তানের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে৷ দয়া করে এই সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করুন৷
এ সময়ে আপনার কী কী করণীয় এবং আপনার শরীরে কী কী পরিবর্তন আসবে, চলুন তা জেনে নেই।
লক্ষণসমূহ:
- প্রেগন্যান্সি টেস্টে পজিটিভ হবার পর এখনও যদি কোনো কিছু অনুভব না করে থাকেন তবে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই৷ বেশিরভাগ লক্ষণসমূহই ৬ সপ্তাহের আগে দেখা দেয় না৷
- স্তনে চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হওয়া, স্তনকে তুলনামূলক স্ফীত দেখা কিংবা বোঁটা তুলনামূলক কালো রং ধারণ করা এই সময়ের খুবই কমন লক্ষণ৷ অনেকের ক্ষেত্রে স্তনে স্পষ্ট নীল বা পার্পল রংয়ের শিরা দেখা যায়৷
- ক্লান্তি অনুভব করা৷ প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন আপনার শরীরে বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটতে পারে৷
- বমি বমি ভাব বা বমি করা৷ প্রায় ৮০ ভাগ নারীর ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব সমস্যাটি হয়৷ ৫০ ভাগ নারী বমি করেন৷
- শরীরে প্রোজেস্টেরনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য পরিপাকে সময় বেশি লাগতে পারে৷ ফলে আপনি পেটে গ্যাস অনুভব বা পেট স্ফীত হয়ে গেছে এমনটা অনুভব করতে পারেন৷
- জরায়ুতে খিল ধরে আছে এমন অনুভূতি হওয়া৷
- মুড সুইং হওয়া৷ বিভিন্ন হরমোনজনিত কারণে কিংবা মানসিক চাপ ও ক্লান্তি থেকে এমনটি হতে পারে৷
প্রেগন্যান্সি চেকলিস্ট:
- চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে এএনসি চেকআপ করানোটা জরুরি এ সময়।৷ আপনার এই সময়ে কী করা দরকার, কী করা উচিত নয় সেসব ব্যাপারে তিনিই আপনাকে গাইডলাইন দিতে পারবেন৷
- এই সময়ে একমাত্র সেসব ওষুধই খাওয়া যাবে যেগুলো আপনার গর্ভকালীন সময়ে কোনো ক্ষতি করবে না৷ কোনগুলো ক্ষতিকর, কোনগুলো ক্ষতিকর না–সেসব বিষয়ে জানার জন্য আপনার চিকিৎসকের সহায়তা নিন৷
- আপনার পেটে যেন গ্যাস ভাব না আসে সেজন্য সারাদিনে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করুন। খাবারকে আস্তেধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খান৷ অধিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ এবং পান করা বর্জন করুন৷ যেসব খাবারে আপনার এলার্জির সমস্যা হতে পারে সেসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
https://www.babycenter.com/pregnancy/week-by-week/4-weeks-pregnant