করােনা সংক্রান্ত তথ্য

সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের ভিড়ে কীভাবে শারীরিক দুরত্ব মেনে চলবেন

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশে দেশে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরির ঘটনা ঘটেছে। জীবনধারণ নিয়ে করুণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল মানুষজন। কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, দোকান-পাটে বেচাকেনা বন্ধ হয়েছিল, মানুষ চাকরি হারিয়েছে, দিনমজুররা না খেয়ে ছিল দিনের পর দিন। সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ার এক পর্যায়ে মহামারীর মধ্যেই কাজ-কর্ম চলমান রাখার চিন্তা শুরু হয়।

বিশেষ এই পরিস্থিতিকে বলা হচ্ছে নিউ নরমাল বা নতুন স্বাভাবিকতা। এর অর্থ হচ্ছে মানুষ হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে; কিন্তু সবকিছু ঠিক আগের মতো থাকেনি। কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে হয়েছে।

এরই মধ্যে সমুদ্রের ঢেউয়ের উত্থান পতনের মতো করে বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চলে মহামারীর তাণ্ডব বেড়েছে আবার। একই সময়ে কিছু কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এসেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রকৃতি থেকে মুছে যাবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

সংক্রমণ বেশি থাকুক কিংবা কমে আসুক, মৃত্যু হার যা-ই হোক না কেন, ভাইরাস শতভাগ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত বাইরের পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই বারবার দিয়েই যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও নতুন স্বাভাবিক পস্থিতির মধ্যে চলাফেরার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে প্রধানতম কাজ হচ্ছে কোনো একটি স্থানে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি বুঝতে পারলেই মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা। আর সেই মাস্কটি অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর মাস্ক খুলে ফেলা কিংবা বারবার মাস্ক হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় বলা হয়-

ü  জনসমাগমস্থলে নাক, মুখ কিংবা চোখে হাত দেওয়ার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ü  কোনো বস্তু স্পর্শ করার পরও হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।

ü  দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন কিংবা অন্য কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

ü  এক্ষেত্রে হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি শতভাগ পরিহার করতে হবে।

ü  হাঁচি ও কাশি দিতে হলে অবশ্যই হাতের কনুই, টিস্যু বা রুমাল দিয়ে নাখ-মুখ ঢেকে নিতে হবে।

ü  যেখানে যেখানে থু থু ফেলা যাবে না। নিজের ব্যবহৃত কোনো বস্তুও যেখানে সেখানে নিক্ষেপ করা যাবে না। ফেলতে হবে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে।

ü  অন্যের ব্যবহৃত গ্লাসে পানি পান করা যাবে না, একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত কোনো কিছু পরিষ্কার না করে নিজের কাজে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ü  যতটা সম্ভব হোটেল রেস্টুরেন্টের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের কাছে সংরক্ষিত খাবার কিংবা পানীয় পান করেই বাইরে থাকা অবস্থায় প্রয়োজন সারতে হবে।

জরুরি প্রয়োজনে অনেকে লোকের একসাথে মিলিত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে বাতাস আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হয়, অর্থাৎ বদ্ধ পরিবেশে পরিহার করা উচিত। এক্ষেত্রে খোলামেলা স্থানে প্রয়োজনটি সারতে পারলে বেশি ভালো হয়।

জ্বর, সর্দি-কাশি, অবসাদ কিংবা কোভিড-১৯ এর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে জনসমাগম স্থলে না যাওয়ায় উচিত। এক্ষেত্রে অন্যকে আক্রান্ত করে ফেলার ঝঁকি বেড়ে যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.