করােনা সংক্রান্ত তথ্য

জনবহুল পরিবেশে কীভাবে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলবেন

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ার এক পর্যায়ে মহামারির মধ্যেই কাজ-কর্ম চলমান রাখার চিন্তা শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চলে মহামারির তাণ্ডব বেড়েছে আবার একই সময়ে কিছু কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এসেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রকৃতি থেকে একেবারে মুছে যাবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

সংক্রমণ বেশি থাকুক কিংবা কমে আসুক, মৃত্যু হার যা-ই হোক না কেন, ভাইরাস শতভাগ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত বাইরের পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই বারবার দিয়েই যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও নতুন স্বাভাবিক পস্থিতির মধ্যে চলাফেরার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

·        কোনো একটি স্থানে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি বুঝতে পারলেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

·        মাস্কটি অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। সম্ভব হলে তিন স্তর বিশিষ্ট সার্জিকাল মাস্ক পরতে হবে।

·        কিছুক্ষণ পরপর মাস্ক খুলে ফেলা কিংবা বারবার মাস্ক হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না।

·        জনসমাগমস্থলে নাক, মুখ কিংবা চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।

·        কোনো বস্তু স্পর্শ করার পরও হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।

·        দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন কিংবা অন্য কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি শতভাগ পরিহার করতে হবে।

·        হাঁচি ও কাশি দিতে হলে অবশ্যই কনুই, টিস্যু বা রুমাল দিয়ে নাখ-মুখ ঢেকে নিতে হবে।

·        যেখানে সেখানে থু থু ফেলা যাবে না।

·        নিজের ব্যবহৃত কোনো বস্তুও যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে ।

·         অন্যের ব্যবহৃত কোনোকিছু পরিষ্কার না করে নিজের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

·        যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের কাছে সংরক্ষিত খাবার কিংবা পানীয় পান করেই বাইরে থাকা অবস্থায় প্রয়োজন সারতে হবে।

·        জরুরি প্রয়োজনে অনেক লোকের একসাথে মিলিত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে খোলামেলা স্থানে প্রয়োজনটি সারতে পারলে বেশি ভালো হয়।

·        জ্বর, সর্দি-কাশি, অবসাদ কিংবা কোভিড-১৯-এর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে জনসমাগম স্থলে না যাওয়াই উচিত। এক্ষেত্রে অন্যকে আক্রান্ত করে ফেলার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তথ্যসূত্র: https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019/question-and-answers-hub/q-a-detail/coronavirus-disease-covid-19-small-public-gatherings#

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.