কোভিড ১৯ থেকে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা চাইলে কোভিডের কমপক্ষে দুই ডোজের টিকা নিতেই হবে। বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সবাইকে টিকার নেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও অনেকে এখনোও প্রথম ডোজের টিকাই নেননি। এর কারণ হিসেবে অনেকেই টিকা নিতে ভয় বা অস্বস্তিকে দায়ী করছেন।
টিকা নিতে যাওয়ার আগেই সিরিঞ্জের ভয়ে থাকেন অনেকে। এসব ভয় আর শঙ্কা কাটানোর বিভিন্ন উপায় চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসা ও মনোবিজ্ঞানীরা।
সাধারণত শিশুদের মধ্যে সুঁইয়ের ভীতি দেখা দেয়। কারণ ধারালো কিছু বিদ্ধ হোক, এটা বেশ অস্বস্তির ও যন্ত্রণার। বয়স বাড়লে তেমন ভয় কেটে যায় বেশিরভাগের ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেকের মধ্যে সেই ভীতি বড়ো বয়সেও থেকে যায়।
এছাড়া অতীতে সুঁই নিয়ে বাজে কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে, সুঁই ফোটার বা ইনজেকশনের বাজে অভিজ্ঞতা শুনলে, ব্যথা নিয়ে সংবেদনশীলতা থাকলে, সংশয়ী মনোভাবের অধিকারী হলে বা ট্রাইপ্যানোফোবিয়া (অতিমাত্রায় সুঁই ভীতির) থাকলে টিকা নিতে ভয় হতে পারে।
যাদের সুঁই ভীতি আছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই টিকা নেওয়ার কথা শুনলে অতিমাত্রায় ভয় বা উদ্বেগ হতে পারে, প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে, ঘাম ঝরতে পারে, বুক ধড়ফড় করতে পারে, ইনজেকশন দেওয়ার নির্ধারিত দিনের আগে অনিদ্রা হতে পারে বা অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
ভয় কাটাতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে:
- মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখুন। যেমন: ফ্লোরে থাকা বিশেষ কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন।
- টিকা প্রয়োগের ঠিক আগে টিকা প্রয়োগে নিয়োজিত নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর প্রস্তুতিমূলক কাজ দেখবেন না। সুঁইয়ের নড়াচড়া দেখতে দেখতে আপনার ভীতি বাড়তে পারে।
- দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার মতো রিলাক্সেশন কৌশলও আপনাকে শান্ত রাখতে সহায়তা করতে পারে।
- টিকা নেওয়ার সময় কাউকে সাথে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের হাত ধরা থাকলে কিংবা গলার স্বর শুনলে আপনার প্রশান্তি অনুভূত হতে পারে।
কোভিড ১৯ থেকে নিরাপদ থাকতে টিকা সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র। তাই টিকা নেওয়ার ভয় দূর করে যত দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়া এবং নিজে ও আমাদের চারপাশকে নিরাপদ রাখাই আমাদের দায়িত্ব।
তথ্যসূত্র:
https://www.health.harvard.edu/blog/terrified-of-needles-that-can-affect-your-health 2021042722470