শিশুর যত্ন ও বেড়ে উঠা

কোভিড আক্রান্ত শিশুর যত্ন যেভাবে নিতে হয়

যদি আপনার শিশুর মধ্যে কোভিড-১৯-এর লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা পরামর্শ  নিতে হবে৷ এমনকি লক্ষণ যদি হালকাও হয় তাহলেও৷

বাসার সবাই মিলে আক্রান্ত শিশুর সেবা করা যাবে না। এতে পরিবারের বাকিদেরও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। বরং পরিবারের সবচেয়ে সুস্থ সবল, কোন রোগে আক্রান্ত নন, টিকা প্রাপ্ত এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ কাউকেই আক্রান্ত শিশুর সেবা করার দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

শিশুকে কখনই জোর করে আলাদা রাখা যাবে না, এতে তার মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

বরং আপনি আপনার শিশুকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে জানান এবং বুঝিয়ে বলুন কেন নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। বাসার সকলকেও শিশুর থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে বুঝিয়ে বলুন ভালো করে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত শিশুর যত্নে আপনার বা যিনি সেবা দিচ্ছেন এবং সম্ভব হলে আপনার শিশুর ( ৬ বছর বা তার কম বয়সি) মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার জরুরি৷ সেই সাথে উভয়কেই নিয়মিত সাবান পানি ব্যবহার করে হাত ধুতে হবে অথবা অ্যালকোহল মিশ্রিত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করতে হবে৷ 

প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার এবং পুষ্টিকর খাবারসমূহ গ্রহণ আপনার শিশুকে দ্রুত কোভিড-১৯ থেকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে৷

কোভিড আক্রান্ত শিশুর যত্ন

আপনার শিশুর প্রশ্ন ও তার দুশ্চিন্তার কারণগুলো শুনুন:

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেক শিশুর মধ্যে রাগ, ভয়, আশঙ্কা কিংবা দুঃখবোধ–এই ধরনের বিভিন্ন  আবেগের জন্ম দিতে পারে৷ তাদের এই বোধ সম্পর্কে জানুন এবং তাকে আশ্বস্ত করুন এই ধরনের বোধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার৷

অনেক সময় শিশুরা তাদের বন্ধু-বান্ধব অথবা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে বিভিন্ন ভুল তথ্য জেনে থাকে এবং দুশ্চিন্তা করে থাকে৷ তাদেরকে সঠিক তথ্যটি প্রদান করুন৷

শিশুর যে-কোনো দরকার সম্পর্কে সচেতন হন:

আইসোলেশনে থাকাকালে শিশু যেন কোনোভাবেই একাকীত্ব বোধ না করে সেজন্য বাসাতে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি।

যদি শিশু ভালো বোধ করে তবে সৃজনশীল উপায়ে তার সাথে খেলা করার এবং উদ্দীপনা জোগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে৷

লক্ষণসমূহ মনিটর করা:

যদি শিশুর লক্ষণ খারাপ হতে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা জরুরি৷

একেবারেই ছোটো শিশুদের ক্ষেত্রে, যদি তারা বুকের দুধপানে অক্ষম হয়, বিভ্রান্তবোধ করে, খাবার খেতে না চায় কিংবা তাদের মুখমণ্ডল বা ঠোঁট নীল হতে থাকে তাহলে যতদ্রুত সম্ভব আপনাকে ব্যবস্থা নিতে হবে৷

বুকের দুধ প্রদান সম্পর্কে টিপস:

আপনার নবজাতক শিশু কোভিড-১৯ অথবা অন্য যে-কোনো রোগে ভুগে থাকুক না কেন, কখনই বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না ৷ কারণ এর মাধ্যমেই ছোটো বাচ্চারা তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে৷

বুকের দুধ খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শিশুর শরীর প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা পেতে সাহায্য করে, আপনার ‘অ্যান্টিবডি’ তার শরীরে প্রবেশ করে যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে  তার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে।

তথ্যসূত্র – https://www.unicef.org/coronavirus/caring-for-sick-person-covid-home 

https://www.who.int/news-room/questions-and-answers/item/q-a-children-and-masks-related-to-covid-19

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.