কী? প্রশ্নটি দেখে ভড়কে গেলেন? ভড়কে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের অনেকেরই মেরুদণ্ড বিভিন্ন কারণে বাঁকা হয়ে যায় এবং এটি বিভিন্ন ধরনের ছোটো বড়ো শারীরিক সমস্যা তৈরি করে।
আমাদের মেরুদণ্ড হলো হাড়ের কলাম, যা কশেরুকা নিয়ে গঠিত। এটি আপনার খুলির নিচ থেকে আপনার কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি আপনার ওপরের শরীরের ভার বহন করে। আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও চলাফেরায় অপরিহার্য অংশ এই মেরুদণ্ড।
আপনার মেরুদণ্ডের হাড়গুলো সঠিকভাবে সারিবদ্ধ থাকলে একটি আর্চ বা ধনুকের মতো বাঁকানো থাকবে। যদি মেরুদণ্ড স্বাভাবিক থাকে তবে আপনার মাথা থেকে শুরু করে, কাঁধ, পিঠ, থেকে আপনার পশ্চাদ্দেশ, হাঁটু এবং পা একটি অপেক্ষাকৃত সরল রেখা বজায় রাখবে।
আপনার মেরুদণ্ড যদি সঠিকভাবে সারিবদ্ধ না থেকে তার স্বাভাবিক ধনুক আকৃতি হারিয়ে ফেলে বা যদি কোনো মিস-অ্যালাইনমেন্ট হয়, তাহলে আপনার চলাফেরা ও গতির পরিধিকে ব্যাহত করতে পারে, ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে এবং আরো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আপনার মেরুদণ্ডের মিস-অ্যালাইনমেন্ট বা কশেরুকার সাজানো অবস্থান নষ্ট হলে, যে লক্ষণগুলোর দেখা দেবে মধ্যে রয়েছে:
- দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা
- কোমর ব্যথা
- ঘাড় ব্যথা
- হাঁটুর ব্যথা
- পশ্চাদ্দেশের ব্যথা
- ঘনঘন অসুস্থতা
- অত্যধিক ক্লান্তি
- হাত বা পায়ে অসাড়তা বা ঝাঁকুনি
- হাঁটায় অস্বাভাবিকতা, যার কারণে অনেক সময় একটি জুতা খুলেও যেতে পারে
ব্যায়াম এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, যেমন চলাফেরায়, কাজকর্মে সঠিক অঙ্গভঙ্গি আমাদের মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারে।
তবে এগুলো পালন করা সত্ত্বেও আপনি যদি বারবার পিঠে ব্যথা, হাঁটার সমস্যা অনুভব করেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এর পাশাপাশি যদি মূত্রাশয়ের সমস্যা অনুভব করেন, যেমন মল বা মুত্র ত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানো, অথবা পায়ে অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।