এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরণ নামক হরমোনের মাত্রা বাড়তির দিকে থাকে৷ ফলে এসময়ে আপনার আবেগ অনুভূতির সংবেদনশীলতা চরমমাত্রায় থাকতে পারে৷ তবে এই হরমোনগুলোর মাত্রা বেড়ে যাওয়া আপনার শিশুর সুস্থ থাকাকে নির্দেশ করে৷ তাই এ নিয়ে ভয় পাবেন না৷
এ সময়ে আপনার কী কী করণীয় এবং আপনার শরীরে কী কী পরিবর্তন আসবে, চলুন তা জেনে নেই।
লক্ষণসমূহ:
- কিছু বিশেষ খাবারের প্রতি আকর্ষণবোধ৷ তবে কিছু কিছু সময় অখাদ্যের প্রতিও আকর্ষণবোধ তৈরি হতে পারে৷ যেমন–ধুলা, কাদামাটি ইত্যাদি৷ এমনটি বোধ হলে দ্রুত চিকিৎসককে জানান৷
- বেশ কিছু খাবারের প্রতি বিতৃষ্ণাবোধ জাগতে পারে৷ উচ্চ এস্ট্রোজেনের কারণে এমন হয়৷
- বিভিন্ন গন্ধের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা তৈরি হতে পারে৷ অনেক সময় খাবার রান্নার গন্ধও অসহ্য লাগতে পারে৷
- বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া এটা ‘মর্নিং সিকনেস’ নামে পরিচিত৷
- গলা ও বুকের নিচের অংশে জ্বলা৷ যেটা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে৷ একে “হার্টবার্ন” বলা হয়৷
- কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া৷
প্রেগন্যান্সি চেকলিস্ট:
- আপনি ধর্ম মেনে চললে প্রার্থনা করতে পারেন৷ এটা আপনার মনে স্বস্তিবোধ তৈরি করে দিবে৷
- গর্ভকালীন বিষয়গুলো নিয়ে পার্টনারের সাথে খোলামেলা আলাপ করুন৷
- হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন৷
- যদি টিকাগ্রহণ না করে থাকেন তবে দ্রুতই নিয়ে নিন৷ তবে যেই টিকা নেবেন অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন ওইটা আপনার জন্য নিরাপদ কি না।
- বাসাতে যদি কোনো ক্যামিকেল থেকে থাকে তবে সেটা অন্য কোথাও রাখুন৷ এটা আপনার গর্ভের শিশুর ক্ষতি করতে পারে৷
- আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খান৷ যেমন–বিভিন্ন রকম শাক, সবজি ইত্যাদি৷
- বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন৷
Source: https://www.babycenter.com/pregnancy/week-by-week/9-weeks-pregnant