গর্ভকালীন সমস্যা ও স্ত্রী রোগ

প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা প্রতিরোধ

জন্মের পর মা ও শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমরা অনেক গুরুত্ব দেই, তবে সাধারণত উপেক্ষিত থাকে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটা। সদ্য প্রসূতি মায়েদের অনেকেই প্রসবপরবর্তী বিষণ্ণতায় ভুগেন যা একই সাথে মা ও শিশু দুজনের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। 

একজন সদ্য প্রসূতি মা যেন বিষণ্ণতায় না হারায় এবং মা যেন শিশুর নিবিড় যত্ন নিতে পারে–এই কারণেই প্রসবপরবর্তী বিষণ্ণতায় পরার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কয়েকটি ধাপে এটি করা যেতে পারে। 

প্রথমত,

নিজেই নিজের দায়িত্ব নিন। প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে আপনার চিকিৎসকে খুলে বলুন। আপনার প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার পূর্ব ইতিহাস থাকলে,  আপনি কখনও বড়োরকমের বিষণ্ণতায় বা মানসিক রোগে ভুগে থাকলে এবং বর্তমানের বিষণ্ণতার যা যা লক্ষণ–সব ডাক্তারকে বললে তিনি উপযুক্ত থেরাপি এবং পরামর্শ দিতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত,

নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। আপনার শিশুর জন্মের আগেই মোটামুটি একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং প্রয়োজনে তা লিখে রাখুন।

পাশাপাশি যেসব ব্যাপার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো:

  • প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের যোগাযোগের নাম্বার জোগাড় করে রাখা।
  • শিশুকে যত্ন নেওয়ার জন্য কাউকে আগে থেকেই ঠিক করতে হবে যাতে আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেন।
  • বিষণ্ণতার যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে, আপনি ঠিক কী করবেন, কাকে যোগাযোগ করবেন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
  • প্রতিদিনের ব্যায়াম করতে হবে।
  • আপনার  শখের বা পছন্দের কোনো কাজ করতে হবে।
  • অবশ্যই প্রচুর ঘুমাতে হবে।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, প্রিয়জনের সাথে সবসময় কথা বলুন, সাথে থাকুন।

পরিবারে নতুন শিশুর আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে। এ সকল পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া অনেক সময়ই খুব কঠিন মনে হতে পারে। এর মাঝে প্রসবপরবর্তী বিষণ্ণতা পারিবারিক জীবনকে আরো জটিল করে তুলতে পারে। তাই এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা আপনাকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.