খাদ্য-পুষ্টি ও জীবনযাত্রা

এই ১২টি খাবার ত্বকের জন্য যথেষ্ট

তরুণ, উজ্জ্বল, মোহময় ত্বকের জন্য টিভিতে দেখানো ওই ঝলমলে বিজ্ঞাপন নিয়ে আর বিরক্ত হওয়া লাগবে না আপনার। বাজারে হাজারও রূপচর্চার ক্রিম এবং এটা সেটার ভিড়ে ক্লান্ত হয়ে গেলেও, এই ১২টি খাবার খেলেই আপনি পেতে পারেন সেই কাঙ্ক্ষিত রূপ।

১। তেলযুক্ত মাছ (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, উচ্চ মানের প্রোটিন, ভিটামিন ই, এবং জিঙ্ক)

  • ওমেগা-৩ ত্বকে প্রদাহ কমায়, অর্থাৎ ত্বকে লালভাব এবং ব্রণ কমে যায়, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মির প্রতি কম সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। 
  • প্রোটিন ত্বকের কোষগুলোকে শক্তি দেয়।
  • জিঙ্ক বা দস্তাকে বলা হয় ত্বকে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কোষ উৎপাদনের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থ। 

২। মিষ্টি আলু (বিটা ক্যারোটিন)

  • প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করে। 

৩। ক্যাপসিকাম বা বেল পেপার (বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি)

  • গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 
  • কোলাজেন তৈরি করতে প্রয়োজনীয়, যা ত্বককে শক্তিশালী রাখে। 

৪। ব্রকলি (ভিটামিন, খনিজ, সালফোরাফেন এবং ক্যারোটিনয়েড) 

  • ত্বকে রিঙ্কল বা ভাঁজ পড়তে দেয় না। 
  • ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে।

৫। টমেটো (ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড) 

  • ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
  • চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬। সয়া (আইসোফ্ল্যাভোন)

  • বলিরেখা রোধ করে। 
  • ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে, ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে, সেই সাথে ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

৭। ডার্ক চকলেট (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) 

  • ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে। 
  • বলিরেখা রোধ, ত্বকের পুরুত্ব স্বাভাবিক রাখে, ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে, ত্বকে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ায় এবং সর্বোপরি ত্বকের গঠন উন্নত করতে পারে।

৮। সবুজ চা (ক্যাটেচিন–শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট)

  • ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
  • ত্বকের লালভাব কমায়, ময়েশচারাইজ করে, পুরুত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

৯। লাল আঙ্গুর (রেসভেরাট্রল)

  • ত্বকের ক্ষতি করে এমন রাসায়নিক পদার্থকে দুর্বল করে আপনার ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। তবে এটি থাকে আঙ্গুরের চামড়ায়, তাই চামড়া না ফেলে আঙ্গুর খান।

১০। সূর্যমুখীর বীজ (ভিটামিন ই)

  • গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

১১। আখরোট (অত্যাবশ্যকীয় চর্বি, জিঙ্ক, ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং প্রোটিন)

  • ক্ষত নিরাময়, ব্যাকটেরিয়া দমন এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

১২। আভোকাডো (চর্বি, ভিটামিন ই এবং সি) 

  • ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে।

এখন আপনি জানেন কোন কোন খাবার, এবং কোন কোন খাদ্য উপাদান আপনার ত্বককে সজীব এবং তারুণ্যদীপ্ত রাখে। তাই হাতের কাছে এই পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পন্ন যা খাবার আছে, সেগুলোর দিকে নজর দিন। আপনার রূপচর্চার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.