আপনি এখন আপনার গর্ভাবস্থার ৩য় সপ্তাহে অবস্থান করছেন৷ এই সপ্তাহটি আপনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ এই সময়েই পরিস্ফুটনরত ভ্রুণটি ফেলোপিয়ান নালি অতিক্রম করে জরায়ুর ভেতরের স্তরে অবস্থান নিতে থাকে৷ এই ঘটনাকে “ইমপ্ল্যান্টেশন” বা ভ্রুণ প্রতিস্থাপন বলা হয়৷ এই সময়ে ১৫-২৫% নারীর রক্তপাত দেখা দিতে পারে৷ কেউ কেউ ব্যথাও অনুভব করে থাকেন৷ তবে অনেক ক্ষেত্রেই ইমপ্ল্যান্টেশন
নিষেকের ৬-১২ দিনের মধ্যেই হয়ে থাকে।
এ সময়ে আপনার কী কী করণীয় এবং আপনার শরীরে কী কী পরিবর্তন আসবে, চলুন তা জেনে নেই।
লক্ষণসমূহ:
- ৩য় সপ্তাহে এসেও অনেকে গর্ভবতী হবার ব্যাপারে কিছু অনুভব করতে পারেন না৷ এতে সমস্যার কিছু নেই৷ তবে কিছু কিছু নারী এই সময়ে premenstrual syndrome ( PSM) এ ভুগতে পারেন৷
- এই সময়ে অনেক গর্ভবতী নারী পেটের ভেতরে গ্যাস এবং স্ফীত অবস্থা অনুভব করে থাকেন৷ যা তাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়৷ এছাড়া অনেকেই এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন। এই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত পানি ও তরল পানীয় খাওয়া দরকার৷ সেই সাথে শাক সবজি, ফলমূলও খেতে হবে৷
- স্তনে ক্ষতের মতো অবস্থা দেখা দেয়৷ অনেকের বোঁটা এই সময়ে কালচে আকার ধারণ করে৷
- এই সময়ে রক্তপাত হতে পারে জরায়ু থেকে৷ একে “ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং” বলে৷ যদি এই সময়ে রক্তপাতের সাথে সাথে ব্যথাও অনুভব করে থাকেন। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। তবে যদি রক্তপাত ও ব্যথা অতিরিক্ত হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এটি “একটোপিক প্রেগন্যান্সি”র লক্ষণ৷
- দেহের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকতে পারে।
প্রেগন্যান্সি চেকলিস্ট:
- এই সময়ে আপনার আবেগ অনিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে৷ যেমন অতিরিক্ত রাগ, বিষণ্ণতা কিংবা দুশ্চিন্তা৷ বিষয়টি আপনার পরিবারের সাথে আলোচনা করতে পারেন যেন আপনি আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন৷
- এই সময়ে গোসলের জন্য গরম পানি এড়িয়ে চলা উচিত৷
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে৷ যেমন–ভিটামিন সি ( টমেটো, লেবু জাতীয় ফল) , আয়রন ( গোরুর গোশত, মুরগির গোশত, কলিজা, কাচা কলা), ক্যালসিয়াম ( দই, পনির) ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে৷ তবে যেসব খাবারে এলার্জি রয়েছে আপনার সেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।
- এই সময়ে চা/ কফি কম কম খাওয়াই ভালো৷
- ধূমপান, অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
- পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন৷ এটা আপনার শরীরকে সতেজ রাখবে৷
https://www.babycenter.com/pregnancy/week-by-week/3-weeks-pregnant