পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার বয়সে পৌঁছানোর আগেই মেনোপজকে বলে আর্লি মেনোপজ। সব নারীর জীবনে মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়মমাফিক নাও আসতে পারে। সাধারণত ৪৫ বছর বয়সের আগে, আনুমানিক ৪০ বছরের দিকে আর্লি মেনোপজ হয়। আপনার ডিম্বাশয়ের ক্ষতি করে বা ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বন্ধ করে এমন যে-কোনো কিছু প্রাথমিক মেনোপজের কারণ হতে পারে।
আর্লি মেনোপজের লক্ষণগুলো কী কী?
–খুব বেশি পরিমাণে রক্ত যাওয়া
–পিরিয়ড ছাড়াই কাপড়ে ছোপ ছোপ রক্ত
–পিরিয়ড এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হওয়া
–দুটি পিরিয়ডের মধ্যে দীর্ঘ সময় বিরতি
এছাড়াও, মেনোপজের অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ যেমন মেজাজ পরিবর্তন, যৌন আকাঙ্ক্ষায় পরিবর্তন, যোনিতে শুষ্কতা, ঘুমের সমস্যা, হঠাৎ গরম লাগা, রাতের ঘাম,
প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো আরো বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
আর্লি মেনোপজ অন্যান্য রোগের ঝুকি তৈরি করে কি?
স্বাভাবিক সময়ের দশ বছর আগে যদি মেনোপজ শুরু হয় তবে সেটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এটি অকাল বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় যেহেতু ইস্ট্রোজেন হরমোনটি কমে যায়, ফলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দানা বাঁধে এবং সেগুলো বাড়তে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে:
১। অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়া
২। হৃদরোগ
৩। হাড় ক্ষয় এবং অস্টিওপরোসিস
৪। বিষণ্ণতা
৫। ডিমেনশিয়া
৬। অকাল মৃত্যু
এরকম নানা জটিলতা এড়াতে নারীর শরীর এবং বিশেষ করে আমাদের মায়েদের-মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।
মনে রাখবেন, মেনোপজের পর আপনি স্রেফ প্রজননক্ষমতা হারাবেন–তার মানে জীবনের গতি স্তব্ধ হয়ে যাওয়া নয় কিন্তু! তাই নিজের খেয়াল রাখুন, পেটে, কোমরে চর্বি জমতে দেবেন না, এতে অন্য নানা জটিলতা এড়ানো সম্ভব।