প্রচলিত রােগ ও সুরক্ষা

ঘাড়ের ব্যথার ঘরোয়া সমাধান

ঘাড়ে হুটহাট টান লেগে ব্যথা হওয়া–এটা আমাদের সাথে হরহামেশাই ঘটে। দৈনন্দিন চলাফেরা এবং নানা কাজে ভুল অঙ্গভঙ্গি এবং পেশির ওপর ভুলভাবে চাপ পড়ার কারণে আমরা অনেকেই ঘাড়ব্যথার শিকার হই। শুধুমাত্র সঠিকভাবে দাঁড়ানো, বসা বা শোয়ার ভঙ্গি পরিবর্তন করেই বেশিরভাগ সময় ঘাড়ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। পাশাপাশি যদি ঘাড়ব্যথা হয়েই যায় তাহলে  ঘাড়ের পেশিগুলোকে দুই একদিন বিশ্রাম দিলেই সাধারণত ব্যথা চলে যায়।

তবে এজাতীয় ঘরোয়া চিকিৎসায় আপনার ঘাড়ের ব্যথার উন্নতি না হলে এবং ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি হলে অতিসত্বর ডাক্তার দেখানো উচিত।

যদি আপনার ঘাড়ে সামান্য ব্যথা থাকে বা শক্ত হয়ে থাকে, তা উপশম করতে এই সহজ পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন:

  1. প্রথম কয়েকদিন বরফ লাগান। এরপরে, একটি হিটিং প্যাড বা গরম তোয়ালে দিয়ে ছেঁক নিয়ে কিংবা গরম পানিতে গোসল করে ঘাড়ে তাপ প্রয়োগ করতে পারেন।
  2. ডাক্তারের পরামর্শমতো আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামলের মতো ব্যথা উপশমকারী ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।
  3.  আপনার ঘাড়ের ব্যথা  বাড়িয়ে দেয় এমন কাজ যেমন, খেলাধুলা, ব্যায়াম, ভারোত্তলন–এসব থেকে কয়েক দিন দূরে থাকুন। এই কাজগুলোতে পুনরায় ফেরার সময় ধীরে ধীরে শুরু করুন।
  4. প্রতিদিন ঘাড়ের ব্যায়াম করুন। ধীরে ধীরে আপনার মাথা ডানে-বায়ে এবং ওপরে-নিচে ঘোরান।
  5. ওঠা, বসা, শোয়া, চলাফেরা এবং প্রাত্যাহিক কার্যকলাপে শরীরকে সঠিক ভঙ্গিতে রাখার অভ্যাস করুন। কুঁজো হয়ে হাঁটা, অনেকক্ষণ ফোন বা কম্পিউটারের দিকে ঘাড় নিচু করে তাকিয়ে থাকা কিংবা আঁকাবাঁকা হয়ে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
  6. ঘাড় এবং কাঁধের মাঝে মোবাইল ফোন রেখে কাজ করা এড়িয়ে চলুন।
  7. একইভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়াবেন না বা বসবেন না। ঘনঘন আপনার অবস্থান এবং অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন। 
  8. ঘাড়ের মৃদু মাসাজ নিতে পারেন।
  9. ঘুমের জন্য বিশেষ ধরনের বালিশ ব্যবহার করুন যা ঘাড়কে সঠিক অবস্থানে রাখে।
  10. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘাড়ের বন্ধনী বা কলার ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন তবে তা আপনার ঘাড়ের ব্যথাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।

বেশিরভাগ সময়, ঘাড়ের ব্যথা কয়েক দিনে কমে যেতে পারে এবং গুরুতর হয় না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, ঘাড়ের ব্যথা গুরুতর আঘাত বা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনার ঘাড়ে ব্যথা থাকে যা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, গুরুতর হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সাথে ঘাড়ের ব্যথাও থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.