প্রচলিত রােগ ও সুরক্ষা

বাতের ব্যথায় কী খাবেন?

বাতের ব্যথা আমাদের দেশে সচরাচর দেখা যায়। বাত পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বেশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আপনার খাদ্যাভ্যাস বা ডায়েট।

খাদ্যাভাসের প্রতি যত্নশীল হওয়া আপনার বাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আপনার উপসর্গগুলো কমাতে ডাক্তার কিছু বিশেষ খাদ্যাভ্যাস সুপারিশ করতে পারে যা মেনে চললে আপনার ব্যথা অনেকাংশে কমতে পারে। এই খাদ্যাভ্যাসে সাধারণত থাকে:

১। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সম্পন্ন খাবার:

ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সম্পন্ন খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে মাছের তেল, সামুদ্রিক মাছ, চিয়া বীজ, শণ বীজ, আখরোট।

২। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:

ভিটামিন এ, সি, এবং ই, এবং সেলেনিয়াম, প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে: কালো চকলেট, পালং শাক, মটরশুটি ইত্যাদি।

৩।  প্রচুর ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার:

প্রচুর আঁশ বা ফাইবার খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। শস্য জাতীয় খাবার, তাজা শাকসবজি এবং তাজা ফল আঁশের খুব ভালো উৎস।

৪। ফ্ল্যাভোনয়েডযুক্ত খাবার:

সয়া, গ্রিন টি , ব্রকলি, আঙ্গুরের মতো ফ্ল্যাভোনয়েডযুক্ত খাবারগুলো শরীরের প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

সুস্থ থাকার জন্য কী খাচ্ছেন আর কী খাচ্ছেন না–সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে খাবারে আপনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়, সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট এবং স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট, যা বাইরের ভাজাপোড়া খাবারে, ফাস্টফুড এবং জুস, চিপ্স, বিস্কুটের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে–এমন খাবার পরিহার করতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.