প্রচলিত রােগ ও সুরক্ষা

কখন পিঠের ব্যাথা বা ব্যাকপেইন নিয়ে চিন্তিত হবেন?

পিঠে ব্যথার অনেক ধরণের উপসর্গ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পিঠের নিচের অংশে একটা ভোতা, বেদনাদায়ক অনুভুতি, ছুরিকাঘাতের মত ব্যাথা যা পায়ের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে, সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় ব্যাথা এবং দাঁড়াতে অক্ষমতা, চলাচলে ব্যাঘাত ঘটা।

ব্যাকপেইন যদি অতিরিক্ত কাজের চাপ বা ভুল ভঙ্গীতে শোয়া বা বসার কারণে হয় তবে তা সাধারণত দুই তিন দিনের ভেতরই সেরেও যায়। তবে, ৩ মাসের বেশি সময় ধরে থাকা পিঠের ব্যথা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। ব্যাথার শুরু হওয়ার ৩ সপ্তাহের মধ্যে পিঠ ব্যাথার অবস্থা এবং তীব্রতায় যদি কোনো পরিবর্তন না আসলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

এ ছাড়াও  ব্যাকপেইনের সাথে সাথে নিচে দেয়া এই লক্ষণগুলি আছে কি না সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাকপেইনের সাথে এই উপসর্গগুলি সাধারণত অন্য কোন জটিল রোগের কারণও হতে পারে।

  • মল-মুত্র ত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানো
  • যেকোনো একটি বা উভয় পায়ে অসাড়তা, দুর্বলতা অথবা শিরশিরে অনুভুতি,  
  • তীব্র, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা যা রাতে আরও খারাপ হয়
  • ব্যাখ্যাতীত ওজন হ্রাস
  • জ্বর
  • পেটে দপদপে ব্যাথা
  • আঘাত বা ট্রমার পরের পিঠ ব্যথা

দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকপেইন কিংবা ব্যাকপেইনের সাথে যদি এই উপসর্গগুলি থাকে তবে দ্রুতই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.