সাদা স্রাব আপনার শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এটি নারীর প্রজনন অঙ্গের পরিষ্কার থাকার একটি দারুণ উপায়।
যদি আপনি লক্ষ করেন আপনার যোনি স্রাবের স্বাভাবিক ঘনত্ব, রঙ এবং গন্ধ পরিবর্তন হয়েছে, তখন আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
আপনার ডাক্তারের সাথে যোনি স্রাব নিয়ে আলোচনা করা উচিত যদি, স্রাবটির–
- রং পরিবর্তন হয়,
- ঘনত্ব পরিবর্তিত,
- দেখতে পনিরের মতো হয়,
- ফেনাযুক্ত হয়,
- তীব্র গন্ধ থাকে, মাছের মতো বা পচা গন্ধ হয়।
এছাড়াও আপনি যদি যোনিতে চুলকানি, ফোলাভাব, জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনার অতিসত্বর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
অস্বাভাবিক যোনি স্রাব হতে পারে ছত্রাক সংক্রমণ, যোনিতে প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (পিআইডি)-র কারণে। তাই আপনার স্রাবের ধরন বদলালে ডাক্তারকে জানাতে হবে।
চলুন জেনে আসি সাদা ছাড়া অন্য রঙের স্রাব কেন হয়:
১। রক্ত লাল থেকে শুকনো বাদামি:
মাসিকের সময় লাল বা বাদামি রক্তাক্ত স্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি সারা মাস জুড়ে লাল দেখতে পান তবে বুঝতে হবে এটি কোনো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক চক্রের লক্ষণ হলো লাল বা খয়েরি ছোপ ছোপ দাগ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এই ধরনের স্রাব দেখা দিতে পারে।
২। ক্রিম এবং দুধ সাদা:
ডিমের খোসার রঙের মতন থেকে শুরু করে ক্রিম রঙের স্রাব হওয়া সাধারণ। আপনার স্রাবের গন্ধ এবং ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় পরিবর্তন হলে তা ডাক্তারকে জানাতে পারেন।
৩। ফ্যাকাশে হলুদ থেকে উজ্জ্বল সবুজ:
এ রঙের স্রাব সাধারণত সংক্রমণের একটি চিহ্ন। তবে হলুদ বা সবুজ রঙ অনেক ক্ষেত্রে নতুন ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করা বা নতুন ধরনের খাবারের জন্যও হতে পারে।
৪। হালকা থেকে গাঢ় গোলাপি:
এটি প্রায়শই আপনার মাসিক চক্রের শুরুর একটি চিহ্ন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে যৌনমিলনের সময় জরায়ু বা যোনি আঘাত পায়। এর কারণে হালকা রক্তপাত হলে, গোলাপি স্রাব হতে পারে।
৫। ছাই বা ধূসর:
যখন স্রাব ধূসর হয়ে যায়, সেটি ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস (BV) এর একটি চিহ্ন হতে পারে। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এমন রঙের স্রাব দেখলে।