সময়ের সাথে সাথে আমরা মহামারির মধ্যেই বাঁচতে শিখছি। তারই ধারাবাহিকতায় খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো! শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ক্লাসরুম প্রতিদিন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
একটা বিষয় শুরুতেই বুঝে নেওয়াটা জরুরি, যে পরিষ্কার করা আর জীবাণুমুক্ত করা–এই দুটো ব্যাপার কিন্তু বেশ আলাদা। পরিষ্কার করা মানে হলো খালি চোখে আমরা যেসব ধূলো-ময়লা দেখি সেগুলো ঝাড়ু দিয়ে কিংবা পানি দিয়ে মুছে ফেলা। এতে দৃশ্যমান ময়লা পরিষ্কার হয় বটে তবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থেকে যাবার সুযোগ অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে জীবাণু্মুক্ত করা মানে হলো নির্দিষ্ট কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো জায়গার জীবাণুগুলোকে যতটা সম্ভব মেরে ফেলা। এতে হয়তো ধুলো ময়লা নাও সরতে পারে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দূর হবে নিশ্চিতভাবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোভিড ১৯ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে আমাদেরকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং শ্রেণিকক্ষগুলোকে নিয়মিত পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্ত–দুটোই করতে হবে।
এটা করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো–
- যেসব জায়গা শিক্ষার্থীরা ঘনঘন স্পর্শ করে যেমন দরজার হাতল, বেঞ্চ, ডেস্ক, খেলনা, বাথরুমের কল–এসব জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত দুটোই করতে হবে।
- ক্লাসরুম বা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কোথাও যদি থুতু, কফ বা এজাতীয় কিছু পড়ে থাকতে দেখা যায় তবে যত দ্রুত সম্ভব সেই জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- জীবাণুনাশক উপকরণসমূহ করোনা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে কি না নিশ্চিত হতে হবে।
- উপকরণসমূহের মেয়াদ আছে কি না খেয়াল করতে হবে।
- জীবাণুনাশক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস বা চশমা পরা প্রয়োজন।
- ক্লিনার উপকরণ দেওয়ার পর অন্তত তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার শেষে গন্ধ দূর হবার জন্য কিছুক্ষণ দরকার জানালা খোলা রাখা যেতে পারে এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- শ্রেণিকক্ষের আয়তন অনুযায়ী পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের বর্জ্যপদার্থ ফেলার জন্য ঢাকনাওয়ালা ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া ডাস্টবিনগুলো যেন হাতের স্পর্শ ছাড়াই খোলা-বন্ধ করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখা ভালো।
- শ্রেণিকক্ষ এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করার একটা রুটিন করে ফেলতে পারলে ভালো হয়। এই কোভিড মহামারির সময়ে শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ দিনে কমপক্ষে একবার পরিস্কার করা এবং বারবার ব্যবহার করা জায়গাগুলো দিনে কয়েকবার জীবাণুমুক্ত করা উচিত।