প্রচলিত রােগ ও সুরক্ষা

পিঠ ব্যাথার ঘরোয়া থেরাপি

পিঠের ব্যথা চিকিত্সায় রয়েছে অনেক ঘরোয়া প্রতিকার, যার মাঝে অনেকগুলোকে ঐতিহ্যবাহীও বলা যেতে পারে। 

১. তাপ এবং বরফ থেরাপি: পিঠের ব্যথার অস্বস্তি কমাতে আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও স্বল্পমেয়াদীভাবে প্রদাহ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে আইস প্যাক। তবে মনে রাখবেন, আপনার ত্বকে সরাসরি বরফ প্রয়োগ করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই একটি পাতলা তোয়ালে বা গজ দিয়ে মুড়িয়ে বরফ ব্যবহার করুন। প্রদাহ কমে গেলে উষ্ণ তোয়ালে দিয়েও ব্যথা উপশম করতে পারেন। তবে তাপ এবং ঠান্ডার মধ্যে কোনটি আপনার সাথে মানানসই সেটি বিবেচনা করুন।

২. ব্যায়াম: পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করার ব্যায়াম পিঠ ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম উপায়। এর পাশাপাশি দৈনন্দিন চলাফেরা এবং কাজকর্মের অঙ্গভঙ্গিতে পরিবর্তন আনুন। ভারি জিনিস সঠিক নিয়মে উঠান। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাহায্য নিন। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে পিঠের জন্য উপযোগী এবং বাড়িতে বসেই করতে পারার মতো ব্যায়াম শিখিয়ে দিতে পারেন। তাছাড়া আপনার অঙ্গভঙ্গি ঠিক করতেও সাহায্য করতে পারবেন তিনি।

৩. ভেষজ তেল: গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাপসাইসিন দিয়ে তৈরি ভেষজ তেল বা মলম ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ক্যাপসাইসিন হল মরিচের একটি উপাদান যা তাদের উষ্ণতা দেয়। এটি আক্রান্ত এলাকার স্নায়ুগুলির  সংবেদনশীলতা কমিয়ে আনে এবং ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।

পিঠের ব্যথা কমাতে এই ঘরোয়া সমাধানগুলি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। সেগুলি কীভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বুঝে এরপরই প্রয়োগ করুন। তবে ব্যাকপেইন বেশি হলে বা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সম্পর্কিত পোস্ট

আরও আরও...আর পাওয়া যায়নি.