প্রস্রাবের রাস্তার চুলকানি, ফুসকুড়ি নারীদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। তবে এর থেকে নিরাময় পাওয়া খুব সহজ।
প্রথমত, সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছনতা মেনে চলতে হবে। সবসময় পরিষ্কার থাকলেই যোনিতে জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অন্যের কাপড়-চোপড়, এবং বিশেষত তোয়ালে ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
এ ছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে চুলকানি বা এলার্জি হয় এমন খাবার বাদ দিতে হবে।
যোনির ফুসকুড়ি মোকাবিলায় হাত দিয়ে না চুলকানো খুবই জরুরি। চুলকানোর ফলে ফুসকুড়ি বাড়ে।
এছাড়াও ফুসকুড়ি নিয়ন্ত্রণে ঘরে বসে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
১। সাবান, ডিটারজেন্ট, ট্যালকম পাউডার এবং ত্বকের ক্রিমের মতো জিনিস যেগুলোতে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়, সেগুলো ব্যবহার বাদ দিন।
২। ঢিলেঢালা পোশাক এবং সুতির অন্তর্বাস পরুন। সিন্থেটিক সামগ্রী এড়িয়ে চলুন।
৩। ভ্যাজাইনা স্প্রে ব্যবহার করবেন না (যদি না আপনার ডাক্তার এটি সুপারিশ করেন)।
৪। যোনি এলাকার শুষ্কতা রোধ করতে সুগন্ধমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৫। চুলকানি কমাতে কাপড় দিয়ে চাপ দিতে পারেন।
৬। আপনার যদি অ্যান্টিবায়োটিক চলে তবে সাথে সাথে প্রোবায়োটিক নিতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
৭। মলত্যাগের পরে সামনে থেকে পিছনে পরিষ্কার করুন। মলদ্বার থেকে প্রস্রাবের রাস্তার দিকে মুছবেন না।
৮। সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
ফুসকুড়ির কারণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা পরিবর্তিত হয়। এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলোও উপসর্গগুলো উপশম করতে পারে। আপনার যদি আগে কখনও ফুসকুড়ি বা চুলকানি না হয়ে থাকে তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ গ্রহণ করা ভালো।