খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং জীবনধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আমরা যেমন আমাদের শারীরিক বিভিন্ন রোগ মোকাবিলা করতে পারি ঠিক তেমনই বিষণ্ণতার মতো মানসিক বিভিন্ন সমস্যাও দূরে রাখতে পারি।
চলুন জেনে আসি কী করে জীবনযাত্রায় একটুখানি পরিবর্তনের মাধ্যমে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব:
১। ব্যায়াম
সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ দিন ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা করুন। ব্যায়াম আপনার শরীরে এন্ডোরফিন উৎপাদন বাড়ায় যেটি আমাদের মন ভালো এবং উৎফুল্ল রাখার হরমোন। হাঁটা খুব ভালো মানের শারীরিক ব্যায়াম।
২। মাদক সেবন পরিহার
যেকোনো মাদক শুরুতে আমাদের ভালো বোধ করায় তবে দীর্ঘমেয়াদে, এগুলো হতাশা এবং উদ্বেগের তৈরি করে। বিষণ্ণতাকে দূরে রাখতে চাইলে মাদক থেকে দূরে থাকুন।
৩। সীমা নির্ধারণ
অতিরিক্ত কাজ এবং বহুমুখী দ্বায়িত্ব আপনাকে উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়। আপনি পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে কতটুক ভার সামলাবেন এবং তাতে আপনার শরীর ও মন কতটুক সায় দেয় সেটা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই।

৪। নিজের যত্ন নিজেই
আমাদের শারীরিক এবং মানসিক–দুই ধরনের স্বাস্থ্যের কথাই মাথায় রাখতে হবে–কারণ শরীর ও মন একে অন্যের সাথে সরাসরি জড়িত। যথেষ্ট ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলা এবং আনন্দদায়ক কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
৫। প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করুন
ভিটামিন B-12 এবং B-6 মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার ভিটামিন বি-এর মাত্রা কম থাকে, তখন আপনার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
ভিটামিন ডি মস্তিষ্ক, হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ঘাটতি বিষণ্ণতার উৎস।
এছাড়াও আপনার চিকিৎসক আপনাকে ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড বা ওমেগা -3 চর্বি যুক্ত খাবার খেতে বলতে পারে।
তবে কখনই এসব ভিটামিন সাপ্লিমেন্টগুলো ইচ্ছামতন খাওয়া যাবে না কারণ এগুললোর ভুল ব্যবহার আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে-কোনো ধরনের ভিটামিন গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে।
জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো বিষণ্ণতাকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। তবে এরপরও যদি আপনার বিষণ্ণতার সমস্যার উন্নতি না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সোর্স: https://www.healthline.com/health/depression#natural-remedies-and-lifestyle-tips