মহামারি করোনাভাইরাস মানুষের জীবনে যে কেবলমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে তা কিন্তু নয়। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক জগতেও এই মহামারি নিদারুণ প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ আছেন যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং হতাশায় ভুগছেন।
গত বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির প্রভাব মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকা, সংক্রমণভীতি, পরিবারের সদস্য হারানোর দুঃখ-কষ্ট, এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উপার্জন ও চাকরি হারানোর ভয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেগুলো হলো:
—আপনি যাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন তাদের সাথে কথা বলুন, পরামর্শ নিন। স্বজন আর বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এক্ষেত্রে সরাসরি দেখা না করে বরং ফোন এবং অনলাইনের সাহায্য নিন।
—আপনি যদি বাড়িতে থাকতে বাধ্য হোন, তাহলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান, হালকা ব্যায়াম করুন।
—বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান আর বাইরের বন্ধু স্বজনদের সঙ্গে ইমেইল, টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করুন।
—ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল বা অন্য কোনো নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ করে আপনার মনের চাপ দূর করার চেষ্টা করবেন না।
—নিজের ওপর যদি খুব বেশি চাপ বা স্ট্রেস বোধ করেন তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে কথা বলুন। যদি প্রয়োজন হয় তবে কীভাবে, কার কাছ থেকে, কোথা থেকে আপনি শারীরিক বা মানসিক সমস্যার জন্য সাহায্য গ্রহণ করবেন তার একটি আগাম পরিকল্পনা তৈরি করে রাখুন।
—তথ্যের জন্য এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত উৎস ঠিক করে রাখুন কেবলমাত্র সেগুলোর ওপর ভরসা করবেন। যেমন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট বা সরকার হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে এমন তথ্য নিন যেগুলো আপনাকে ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাহায্য করবে।
—দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতা কমাতে, আপনি এবং আপনার পরিবার, প্রচার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আর এর পরিণতি নিয়ে বিপর্যস্তকর সংবাদ শোনা বা দেখা কমিয়ে দিতে পারেন।
—মনে করে দেখুন, আপনি আগেও নানার প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর সময় আপনার মানসিক চাপ কমাতে পূর্বের সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
খাদ্য-পুষ্টি ও জীবনযাত্রা

খারাপ অভ্যাস কীভাবে ছাড়বেন?

ওজন কমাতে দৈনিক কী পরিমাণ শর্করা গ্রহণ করা উচিত?

কোন ধরনের ব্যায়াম “স্ট্রেস” কমায়?

ওজন কমছে না কেন?
মানসিক স্বাস্থ্য

ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকতে যা যা করবেন

যে চারটি খাবার আপনার উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা জনিত সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে

ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় বিভিন্ন থেরাপি যেভাবে কাজ করে

ডিপ্রেশনের নানান প্রকারভেদ
শিশুর যত্ন ও বেড়ে উঠা

শিশুদের স্কুলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব কীভাবে?

শিশুদের অপুষ্টি থেকে রক্ষার জন্য কী করা দরকার?

শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার উপায়

ঘরবন্দী অবস্থায় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের লেখাপড়া কিভাবে করাবেন
করোনা সংক্রান্ত তথ্য

করোনায় শিশুদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে করণীয়

ডায়াবেটিস রোগীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ

১ কোটি প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের বিশেষ কর্মসূচি ২৬ ফেব্রুয়ারি

শিশুদের কি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন আছে?
মহামারি করোনাভাইরাস মানুষের জীবনে যে কেবলমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে তা কিন্তু নয়। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক জগতেও এই মহামারি নিদারুণ প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ আছেন যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং হতাশায় ভুগছেন।
গত বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির প্রভাব মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকা, সংক্রমণভীতি, পরিবারের সদস্য হারানোর দুঃখ-কষ্ট, এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উপার্জন ও চাকরি হারানোর ভয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেগুলো হলো:
—আপনি যাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন তাদের সাথে কথা বলুন, পরামর্শ নিন। স্বজন আর বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এক্ষেত্রে সরাসরি দেখা না করে বরং ফোন এবং অনলাইনের সাহায্য নিন।
—আপনি যদি বাড়িতে থাকতে বাধ্য হোন, তাহলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান, হালকা ব্যায়াম করুন।
—বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান আর বাইরের বন্ধু স্বজনদের সঙ্গে ইমেইল, টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করুন।
—ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল বা অন্য কোনো নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ করে আপনার মনের চাপ দূর করার চেষ্টা করবেন না।
—নিজের ওপর যদি খুব বেশি চাপ বা স্ট্রেস বোধ করেন তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে কথা বলুন। যদি প্রয়োজন হয় তবে কীভাবে, কার কাছ থেকে, কোথা থেকে আপনি শারীরিক বা মানসিক সমস্যার জন্য সাহায্য গ্রহণ করবেন তার একটি আগাম পরিকল্পনা তৈরি করে রাখুন।
—তথ্যের জন্য এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত উৎস ঠিক করে রাখুন কেবলমাত্র সেগুলোর ওপর ভরসা করবেন। যেমন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট বা সরকার হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে এমন তথ্য নিন যেগুলো আপনাকে ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাহায্য করবে।
—দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতা কমাতে, আপনি এবং আপনার পরিবার, প্রচার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আর এর পরিণতি নিয়ে বিপর্যস্তকর সংবাদ শোনা বা দেখা কমিয়ে দিতে পারেন।
—মনে করে দেখুন, আপনি আগেও নানার প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর সময় আপনার মানসিক চাপ কমাতে পূর্বের সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করুন।