এসময়ে শিশু তার চোখ দিয়ে প্রথম রং দেখা শুরু করে, লাল রং৷ শরীরে চর্বির স্তর তৈরি হতে থাকে যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে৷ এখন থেকে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে ৷
এ সময়ে আপনার কী কী করণীয় এবং আপনার শরীরে কী কী পরিবর্তন আসবে, চলুন তা জেনে নেই।
লক্ষণসমূহ:
- ত্বক ফাটা, ফুসকুড়ি বা র্যাশ হওয়া৷
- স্তন থেকে দুধের মতো তরল বের হওয়া৷ একে কলোস্ট্রাম বা শালদুধ বলে৷
- ক্লান্তিভাব৷
- ঘুমে অসুবিধা হওয়া৷
- হাতের আঙুল, কবজি এবং হাতে ব্যথা হওয়া এমনকি অসাড়ও হয়ে যেতে পারে৷
- যৌন চাহিদা বাড়তে পারে৷
- পেটে হঠাৎ করে টান পড়ার মতো অনুভূতি হওয়া৷ এটা সাধারণত ব্যথাহীন থাকে৷
- চামড়ায় ফাটা দাগের মতো তৈরি হওয়া।
- পেট ফাঁপা৷
- পাইলসের সমস্যা৷
- পায়খানা কষা হওয়া।
- ক্লান্তিভাব৷
- বদহজম৷
- দাঁতের মাড়ি ফোলা বা রক্তপাত হওয়া৷
- যোনিপথে জীবাণু সংক্রমণ।
- যোনিপথে জ্বালাপোড়া৷
- শরীরে ছোপ ছোপ দাগ হওয়া৷
- বুকে, গলায় জ্বালাপোড়া হওয়া৷
প্রেগন্যান্সি চেকলিস্ট:
- সদ্য প্রসবকৃত সন্তানের জন্য যা যা লাগে যেমন–ডায়াপার, কাঁথা, কাপড় ইত্যাদি আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন৷
- চাকুরি করা মায়েদের জন্য এই সময়টি ছুটি নেওয়ার একটি আদর্শ সময়৷
- প্রি-এক্লেম্পশিয়া বা গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপ এসময়ে একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে৷ এ ব্যাপারে নজর রাখুন৷
- বেশি করে পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খান৷
- ভারী কোনো কাজ কোনোভাবেই করবেন না৷
- ঘুমানোর সময় যেকোনো একপাশ ফিরে ঘুমান৷
https://www.babycenter.com/pregnancy/week-by-week/34-weeks-pregnant